সংখ্যা পদ্ধতি ও ডিজিটাল ডিভাইস



১। সংখ্যা পদ্ধতি কাকে বলে?/ সংখ্যা পদ্ধতি কি?
উত্তর: কোন সংখ্যা লেখা বা প্রকাশ করার পদ্ধিতিকেই সংখ্যা পদ্ধতি বলা হয়।

২। সংখ্যা পদ্ধতি কত প্রকার?
উত্তর: সভ্যতার আদি থেকে আজ পর্যন্ত যে সকল সংখ্যা পদ্ধতির প্রচলন হয়েছে তাদেরকে প্রধানত দুটি ভাগে ভাগ করা যায়-
           * পজিশনাল সংখ্যা পদ্ধতি
           * নন-পজিশনাল সংখ্যা পদ্ধতি 

৩।  সংখ্যা পদ্ধতির বেজ বা ভিত?
উত্তর: কোন সংখ্যা পদ্ধতির বেজ বা ভিত হচ্ছে ঐ পদ্ধতিতে ব্যবহৃত মৌলিক চিহ্ন সমূহের মোট সংখ্যা।

৪।  বেজ বা ভিতের উপর নির্ভর করে সংখ্যা পদ্ধতি কয় প্রকার?
উত্তর:  বেজ বা ভিতের উপর নির্ভর করে পজিশনাল সংখ্যা পদ্ধতি বিভিন্ন ধরনের  হতে পারে। যেমন-
* দশমিক বা  ১০ ভিত্তিক সংখ্যা পদ্ধতি
* বাইনারি  বা ২ ভিত্তিক সংখ্যা পদ্ধতি
* অক্ট্যাল বা ৮ ভিত্তিক সংখ্যা পদ্ধতি
* হেক্সাডেসিমেল বা ১৬ ভিত্তিক সংখ্যা পদ্ধতি

৫। ১ এর পরিপূরক গঠন।
উত্তর: বাইনারি সংখ্যা ০ এর স্থানে ১ এবং ১ এর স্থানে ০ বসিয়ে, অর্থাৎ সংখ্যার বিটগুলোকে উল্টিয়ে সংখ্যাটির ১ এর পরিপূরক পাওয়া যায়।

৬। ২ এর পরিপূরক গঠন।
উত্তর: ১ এর পরিপূরক এর সাথে ১ যোগ করলে বাইনারি সংখ্যার ২ এর পরিপূরক পাওয়া যায়।

৭। বিসিডি কোড কি?
উত্তর: বিসিডি শব্দটির পূর্ণরুপ হলো বাইনারি কোডেড ডেসিমেল। দশমিক সংখ্যার প্রতিটি অংককে সমতুল্য বাইনারি সংখ্যা দ্বারা প্রকাশ করাকে বিসিডি কোড বলে।

৮।  আলফানউমেরিক কোড?
উত্তর: অক্ষর (a-z, A-Z),  অংক (0-9) এবং বিভিন্ন গাণিতিক চিহ্নসহ (+, -, = x ইত্যাদি) আরও কতগুলো বিশেষ চিহ্নের (!, @, #, $, %, *, / ইত্যাদি) জন্য ব্যবহৃত কোডকে আলফানিউমেরিক কোড বলা হয়।

৯। অ্যাসকি কোড?
উত্তর: American Standard Code for Information Interchange এর সংক্ষিপ্ত রূপ ASCII বা আসকি । ১৯৬৫ সালে রবার্ট বিমার সাত বিটের অ্যাসকি কোড উদ্ভাবন করেন। অ্যাসকি একটি বহুল প্রচলিত কোড। এই কোড এর মাধ্যমে ১২৮টি অদ্বিতীয় চিহ্নকে নির্দিষ্ট করা যায়।

১০। ইবিসিডিক কোড। (EBCDIC)
উত্তর: ৮-বিট বিসিড কোড (Extended Binary Coded Decimal Information Code) বা  ইবিসিডিক কোড নামে পরিচিত। 
 



কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন