উত্তর: স্প্রেডশিট হলো একধরনের কম্পিউটার প্রোগ্রাম। এটিকে
কখনো কখনো ওয়ার্কবুক বলা হয়। স্প্রেডশিট এর আভিধানিক অর্থ হলো ছড়ানো কাগজ। একে একটি
রেজিস্টার খাতার সাথে তুলনা করা যেতে পারে। একটি রেজিস্টার খাতায় যেমন অনেকগুলো পৃষ্ঠা
থাকে, তেমনি একটি ওয়ার্কবুকে অনেকগুলো ওয়ার্কশিট থাকে। এক একটা ওয়ার্কবুকে অনেকগুলো
সারি ও কলাম থাকে। কলামগুলোকে ABCD ও রো গুলোকে 1234 দিয়ে চিহ্নিত করা হয়ে থাকে। ছোট ছোট ঘরগুলোকে বলা
হয় সেল। একটি ওয়ার্কশিটে অসংখ সেল থাকে। ওয়ার্কশিটে কোনোকিছু লিখতে হলে তা সেলে লিখতে
হয়।
২।স্পেডশিট
ব্যবহারের উদ্দেশ্য বা প্রয়োজনীয়তা সংক্ষেপে লেখ।
উত্তর: বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান এমনকি
নিজের সাংসারিক হিসাব-নিকাশেও খাতা কলমে হিসাব করতে গেলে শুধু সময়েরই অপচয় হয় না, ভুল
হওয়ার সম্ভাবনাও থাকে অনেক। বড় বড় হিসাব করতে গেলে বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়।
পক্ষান্তরে স্প্রেডশিট সফ্টওয়্যার ব্যবহার করে বিপুল পরিমাণ উপাত্ত নিয়ে কাজ করা যায়।
স্প্রেডশিট সফ্টওয়্যার ব্যবহারের মাধ্যমে হিসাবের কাজ দ্রুত ও নির্ভুলভাবে করা যায়।
এ সফ্টওয়্যারে সূত্র ব্যবহারের সুযোগ থাকায় হিসাবের কাজ স্বংয়ংক্রিয়ভাবে সম্পন্ন হয়।
একই সূত্র বারবার প্রয়োগ করা যায় বলে প্রক্রিয়াকরণের সময় কম লাগে। উপাত্তের চিত্ররুপ
দেওয়া এ সফ্টওয়্যারে খুব সহজ। স্প্রেডশিট সফ্টওয়্যারের মাধ্যমে ডাক যোগাযোগের ঠিকানা
ও ই-মেইল ঠিকানার ব্যবস্থাপনা ও সংরক্ষণ সহজে করা যায়।
৩।ফর্মূলা
বলতে কী বুঝ? উদাহরণ সহ লেখ।
উত্তর: ওয়ার্কশিটে বিভিন্ন সংখ্যার যোগ, বিয়োগ, গুণ, ভাগ
ইত্যাদি গাণিতিক হিসাব-নিকাশের পদ্ধতিকে ফর্মূলা বলা হয়। এটি ব্যবহারের মাধ্যমে অল্প
সময়ে নির্ভুলভাবে হিসাব নিকাশ করা যায়। উদাহরণ হিসেবে মনে করি A2 সেলে 100 এবং B2 সেলে আছে 300 । এখন যদি এ সংখ্যা দুটি যোগ করে যোগফল A3 সেলে রাখতে চাই, তাহলে A3 সেলে প্রথমে = করতে হবে। এরপর A2+B2 টাইপ করতে হবে। সম্পূর্ণ
লেখাটা দাড়াঁবে =A2+B2 এখন Enter বোতামে চাপ দিলে A3 সেলে 400 লেখা চলে আসবে। এভাবে
বিভিন্ন সংখ্যার যোগ, বিয়োগ, গুণ, ভাগ করা যায়।
৪।অফিস
বাটন সম্পর্কে লেখ।
উত্তর: মাইক্রোসফ্ট অফিস এক্সেল স্ক্রিনের সবচেয়ে উপরে কর্ণারে
মাইক্রোসফ্ট অফিস এর লগো সংবলিত সবচেয়ে বড় লগো সংবলিত বড় গোল বাটনটির নাম অফিস বাটন।
এটি অনেকটা Office 97-2003 এর File মেনুর মতো কাজ করে। এ বাটনটির মাধ্যমে Save, Open, New, Close , Save, Save As, Print, Publish ইত্যাদির কাজ করা যায়।
৫।মাইক্রোসফ্ট
এক্সেল-২০০৭ উইন্ডো এর পরিচিতি বর্ণনা কর।
উত্তর: মাইক্রোসফ্ট এক্সেল-২০০৭ উইন্ডো এর বেশে কিছু গুরুত্বপূর্ণ
অংশ রয়েছে।
যেমন- টাইটেল বার, অফিস বাটন, রিবন, স্ট্যাটাস বার প্রভৃতি। নিচে এগুলো
সম্পর্কে বর্ণনা করা হলো।
টাইটেল
বার: এক্সেল উইন্ডোর একবারে উপরে ওয়ার্কবুকের শিরোনাম লেখা থাকে। এটাকে টাইটেল বার
বলে।
অফিস
বাটন: এক্সেল উইন্ডোর উপরের বাম দিকে কোনার
দিকে বড় গোলাকার বাটনটি হলো অফিস বাটন। এটাতে ক্লিক করে নতুন এক্সেল ওয়ার্কবুক
খোলা, আগের ওয়ার্কবুক সংরক্ষণ করা সহ আরো অনেক কাজ করা যায়।
কুইক অ্যাকসেস টুলবার:
অফিস বাটনের পাশেই কুইক অ্যাকসেস টুলবারের অবস্থান। সচারচার যে বাটনগুলো বেশি ব্যবহৃত
হয় সেগুলো এখানে থাকে।
খুব ভালো
উত্তরমুছুন