উত্তর:একাধিক
কম্পিউটারকে পরস্পর সংযুক্ত করে কম্পিউটার নেটওয়ার্ক তৈরি করা হয়। অর্থাৎ দুইটি কিংবা
দুইটার বেশি কম্পিউটারকে যোগাযোগের কোনো মাধ্যম দিয়ে এক সাথে জুড়ে দিলে যদি তারা নিজেদের
ভেতর তথ্য কিংবা উপাত্ত দেওয়া নেওয়া করতে পারে তাহলেই আমরা সেটাকে কম্পিউটার নেটওয়ার্ক
বলতে পারি। সতিক্যারের নেটওয়ার্কে আসলে দু-তিনটি কম্পিউটার থাকে না। সাধারণত অনেক কম্পিউটার
থাকে। কম্পিউটারের নেটওয়ার্কে যখন তথ্য দেওয়া হয়, তখন একটা অনেক বড় কাজ হয়। একজন ব্যবহারকারী
তখন নেটওয়ার্কের অনেক কিছু ব্যবহার করতে পারে। যে রির্সোস তার কাছে নেই সেটিও সে নেটওয়ার্ক
থেকে ব্যবহার করতে পারে।
২।রিসোর্স
বলতে কী বোঝ?
উত্তর:একটি
কম্পিউটার নেটওয়ার্কে ক্লায়েন্টের কাছে ব্যবহারের জন্য যে সকল সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হয়
তার সবই হচ্ছে রিসোর্স। একটা কম্পিউটারের সাথে যদি একটা প্রিন্টার কিংবা একটা ফ্যাক্স
লাগানো হয় সেটা হচ্ছে রিসোর্স। কম্পিউটার দিয়ে কেউ যদি সার্ভারে রাখা একটা ছবি আঁকার
সফ্টওয়্যার ব্যববহার করে সেটাও রির্সোস। যারা নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে , তারা শুধু যে
রিসোর্স গ্রহন করে তা নয়, কারো কাছে যদি কোনো গুরুত্বপূর্ণ তথ্য থাকে বা মজার ছবি থাকে
এবং সেটাও যদি নেটওয়ার্কের মাধ্যমে অন্যরা ব্যবহার করতে থাকে তাহলে তার কম্পিউটারও
এবটা রিসোর্স হয়ে যাবে।
৩।প্রটোকল
বলতে কী বোঝ?
উত্তর:প্রটোকল
কম্পিউটার নেটওয়ার্কের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। এটি ছাড়া একটি সফল কম্পিউটার নেটওয়ার্ক
গড়ে তোলা অসম্ভব। ভিন্ন ভিন্ন কম্পিউটারকে এক সাথে যুক্ত করে দিতে হলে এক কম্পিউটারের
সাথে অন্য কম্পিউটারের যোগাযোগ করার জন্য কিছু নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে তথ্য আদান প্রদান
করতে হয়। যারা নেটওয়ার্ক তৈরি করেন তারা আগে থেকেই ঠিক করে নেন, ঠিক কোন ভাষায় কোন
নিয়ম মেনে এক কম্পিউটার অন্য কম্পিউটারের সাথে যোগাযোগ করবে। এই নিয়মগুলোই হচ্ছে প্রটোকল।
৪।নেটওয়ার্ক
এডাপটার কী?
উত্তর:নেটওয়ার্ক
এডাপ্টর হলো কম্পিউটার নেটওয়ার্কে ব্যবহৃত একটি ডিভাইস। এর সাহায্যে একটি কম্পিউটারকে
নেটওয়ার্কে সংযুক্ত করা হয়। অর্থাৎ একটা কম্পিউটারকে
সোজাসুজি নেটওয়ার্কের সাথে জুড়ে দেওয়া যায় না। সেটা করার জন্য কম্পিউটারের সাথে একটা
নেটওয়ার্ক ইন্টারফেস কার্ড (NIC) লাগাতে হয়।
সেই কার্ডগুলো তখন মিডিয়া থেকে তথ্য নিয়ে ব্যবহার করার জন্য কম্পিউটারকে দিতে কেন্দ্রীয়
কম্পিউটার বা হাব নষ্ট হলে সেটি ঠিক করলেই নেটওয়ার্ক সচল হয়ে যায়।
৫। টপোলজি
বলতে কী বোঝ? সংক্ষেপে লেখ।
উত্তর:কম্পিউটার
নেটওয়ার্কে একটি কম্পিউটারের সাথে অপর কম্পিউটারের সংযোগ ব্যবস্থাকেই টপোলজি বলে। তবে
নেটওয়ার্কের কম্পিউটারগুলোকে তার দিয়ে যুক্তকরলেই হয় না। তারের ভিতর দিয়ে নির্বিঘ্নে
ডেটা যাওয়া আসার জন্য যুক্তি নির্ভর সুনিয়ন্ত্রিত একটি পথের প্রয়োজন আছে। নেটওয়ার্কের
কম্পিউটারগুলোকে তারের মাধ্যমে যুক্ত করার
যে নকশা এবং এর পাশাপাশি সংযোগকারী তারের ভিতর দিয়ে ডেটা যাওয়া আসার জন্য যুক্তি নির্ভর
পথের যে পরিকল্পনা এ দু’য়ের
সমন্বিত ধারণাকে বলা হয় নেটওয়ার্ক টপোলজি।
৬।বাস
টপোলজি সম্পর্কে লিখ।
উত্তর:বাস
নেটওয়ার্ক সংগঠনে একটি সংযোগ লাইনের সাথে সবগুলি নোড যুক্ত থাকে। সংযোগ লাইনকে সাধারণত
বাস বলা হয়। একটি কম্পিউটার অন্য কম্পিউটার নোডের সংযোগ লাইনের মাধ্যমে সংকেত পাঠায়।
অন্য কম্পিউটারগুলো তাদের সেই নোডে সংকেত পরীক্ষা করে দেখে এবং কেবলমাত্র প্রাপক নোড
সেই সংকেত গ্রহন করে।
- এই টপোলজিতে কোন কম্পিউটর নষ্ট হয়ে গেলে অন্য কম্পিউটারে কাজ করতে কোন অসুবিধা হয় না।
- বাস টপোলজিতে সংস্থাপন খরচ কম। ফলে এতে খরচ সাশ্রয় হয়।
- এই টপোলজিতে যে কোন সময় নতুন কম্পিউটার সংযুক্ত করা যায় আবার প্রয়োজনে সেখান থেকে কম্পিউটার সরিয়ে নেয়া যায়।
- এই টপোলজিতে কোন হোস্ট কম্পিউটার থাকে না।
- এই টপোলজিতে কম্পিউটার সংখ্যা বেশি হলে প্রচন্ড ট্রাফিক সৃষ্টি হয় এবং ডেটা ট্রান্সমিশন বিঘিœত হয়।
৭।রিং
টপোলজি সম্পর্কে লিখ।
উত্তর:রিং
নেটওয়ার্কে কম্পিউটারগুলো নোড এর মাধ্যমে বৃত্তাকার পথে পরস্পরের সাথে সংযুক্ত হয়ে
নেটওয়ার্ক গড়ে তোলে। নেটওয়ার্কের কোন কম্পিউটার ডেটা বা তথ্য পাঠালে তা পরবর্তী নোডের
দিকে প্রবাহিত হয়। এভাবে তথ্যের একমুখী প্রবাহ পুরো বৃত্তাকার পথ ঘুরে আসে এবং বৃত্তাকার
পথের বিভিন্ন নোডে সংযুক্ত কম্পিউটার প্রয়োজনে উক্ত সংকেত গ্রহণ করতে পারে।
রিং টপোলজিতে রিং এর যে
কোন একটি কম্পিউটার নষ্ট হয়ে গেলে সম্পূর্ণ রিং অচল হয়ে যাবে।
· এ সংগঠনে কম্পিউটারগুলো
সরাসরি পরস্পরের সাথে যুক্ত থাকে না ফলে সরাসরি কোন কম্পিউটারের কাছে তথ্য পাঠাতে পারেনা।
·
এই সংগঠনে
কোন হোস্ট কম্পিউটার নেই।
·
রিং টপোলজিতে
যে কোনো সময় কম্পিউটার সংযোজন বা বিয়োজন করা
যায় না।
·
এই টপোলজি
তৈরি বা মেরামত করা ব্যয়বহুল।
৮। স্টার টপোলজি সম্পর্কে লিখ।
উত্তর: স্টার নেটওয়ার্ক প্রত্যেকটি একটি হাব বা সুইচের মাধ্যমে,
সরাসরি সংযুক্ত থাকে। কম্পিউটারগুলি হাবের বা সুইচের মাধ্যমে একে অন্যের সাথে যোগাযোগ
রক্ষা করে ও ডেটা আদান প্রদান করে।
·
নেটওয়ার্কের
কোন কম্পিউটার নষ্ট হলেও নেটওয়ার্কের বাকি কম্পিউটারগুলোর মধ্যে কাজের ব্যাঘ্যাত ঘটে
না।
·
একই নেটওয়ার্কে
বিভিন্ন ধরনের ক্যবল ব্যবহার করা যায়।
·
স্টার নেটওয়ার্কে
কোন কম্পিউটার যোগ করা বা বাদ দেওয়া যায়, তাতে কাজের কোন বিঘ্ন ঘটে না।
·
স্টারনেটওয়ার্কে
হাব বা সুইচ খারাপ হয়ে গেলে সম্পূর্ণ নেটওয়ার্ক অচল হয়ে পড়ে।
·
স্টার টপোলজিতে
প্রচুর পরিমাণে ক্যাবল ব্যবহৃত হয় বিধায় এটি একটি ব্যয়বহুল পদ্ধতি।
৯। মডেম কাকে বলে?
উত্তর: মডেম শব্দটি মডুলেটর - ডিমডুলেটর এর সংক্ষিপ্ত রুপ।
মডুলেটর ডিজিটাল সংকেতকে অ্যানালগ সংকেতে এবং ডিমডুলেটর অ্যানালগ সংকেতকে ডিজিটাল সংকেতে
পরিণত করে। মডেমে একটি মডুলেটর এবং ডিমডুলেটর থাকে। প্রেরক কম্পিউটারের সাথে যুক্ত
মডেম কম্পিউটারের ডিজিটাল সংকেতকে অ্যানালগ সংকেতে পরিণত করে টেলিফোন যোগাযোগ ব্যবস্থার
দ্বারা গ্রাহকের নিকট ডেটা ও তথ্য প্রেরণ করে। এভাবে টেলিফোন লাইনের উপযোগী করে অ্যানালগ
সংকেতকে ডিজিটাল সংকেতে পরিবর্তন এর প্রক্রিয়াকে মডুলেশন বলে। গ্রাহক কম্পিউটারের সঙ্গে
যুক্ত মডেম সেই অ্যানালগ সংকেতকে আবার ডিজিটাল সংকেতে পরিলণত করে তা কম্পিউটারের ব্যবহারোপযোগী
করে। এভাবে টেলিফোন লাইন থেকে প্রাপ্ত অ্যানালগ সংকেতকে ডিজিটাল সংকেতে রূপান্তরের
প্রক্রিয়াকে ডিমডুলেশন বলে।
১০। হাব কাকে বলে?
উত্তর: দুইয়ের অধিক পোর্টযুক্ত রিপিটারকে হাব বলে? স্টার
টপোলজিতে হাব একটি কেন্দ্রীয় কানেকটিভ ডিভাইস হিসেবে ব্যবহৃত হয়। হাবের মাধ্যমে কম্পিউটারসমূহ
পরস্পরের সাথে যুক্ত থাকে। কম্পিউটারের সংযোগ সংখ্যার উপর হাবের ক্ষমতা নির্ভর করে।
কার্যকারিতার দিক থেকে হাব দুই প্রকার-
১। সক্রিয় হাব ২। নিষ্ক্রিয় হাব
১১। ড্রপবক্স সম্পর্কে লেখ।
উত্তর: নেটওয়ার্কের অন্য ব্যবহারটি হচ্ছে তথ্যপ্রযুক্তি সংক্রান্ত
সকল প্রয়োজনীয় সফ্টওয়্যার ভাগাভাগি করে নেওয়ার সুযোগ। এক সময় সকল প্রয়োজনীয় সফ্টওয়্যার
প্রত্যেকটি কম্পিউটারেই আলাদাভাবে রাখার প্রয়োজন হতো। এখন আর সেটি রাখতে হয় না। একটি
মূল কম্পিউটার বা সার্ভারে সেটি রাখা হয় এবং নেটওয়ার্কের মাধ্যমে অন্যান্য সব কম্পিউটার
সার্ভারে রাখা সেই সফ্টওয়্যার ব্যবহার করে । কাজেই ব্যক্তিগতভাবে একজন মানুষ কোনো মুল্যবান
সফ্টওয়্যার না কিনেই ব্যবহার করতে পারে তা নয়, একজন মানুষ তার ব্যক্তিগত সবকিছুই নিজের
কম্পিউটারে না রেখে অন্য কোথাও রেখে দিতে পারে। যে কোন সময় পৃথিবীর যেকোনো জায়গা থেকে
সেটি ব্যবহার করতে পারে সেরকম ব্যবস্থাও করা হয়েছে। এরকম একটি জনপ্রিয় সেবার ব্যবস্থাও
করা হয়েছে। এরকম একটি জনপ্রিয় সেবার নাম ড্রপবক্স। এখানে যে কেউ অ্যাকাউন্ট খুলে তার
অ্যাকাউন্টে প্রয়োজনীয় তথ্য রাখতে পারে।
১২। ক্লাউড কম্পিউটিং কী? এর বৈশিষ্ট লিখ।
উত্তর: ইন্টারনেটে বা ওয়েবে সংযুক্ত হয়ে কিছু গ্লোবাল সুবিধা
ভোগ করার যে পদ্ধতি তাই হচ্ছে ক্লাউড কম্পিউটিং। ক্লাউড কম্পিউটিং হচ্ছ একটি ইন্টারনেট
সেবা যা কম্পিউটার ব্যবহারকারীদের কম্পিউটিং এর চাহিদাকে পূরণ করে । ইহা এমন একটি প্রযুক্তি
যা সহজতরভাবে কম সময়ে অধিক ক্ষমতাসম্পন্ন অন-লাইন কম্পিউটিং সেবা প্রদান করে থাকে। এটি একটি বিশেষ পরিসেবা। এখানে “ক্লাউড” বলতে দূরবর্তী কোনো শক্তিশালী সার্ভার কম্পিউটারকে
বোঝানো হয়। বিশ্বের যে কোনো প্রান্তে থেকে ইন্টারনেট সংযুক্ত কম্পিউটারের মাধ্যমে “ক্লাউড” প্রদত্ত সেবাসমূহ ভোগ করা যায়। আমরা Hotmail, yahoo, g mail
প্রভৃতি ব্যবহার করে যে ইমেইল আদান প্রদান করে থাকি তা আসলে ক্লাউড কম্পিউটিং ব্যবহার
করেই করা হয়।
ক্লাউড কম্পিউটিং এর বৈশিষ্ট:
রিসোর্স লেবিলিটি : ছোট বড় যাই হোক,
ক্রেতার সব ধরনের চাহিদাই মেটানো হবে, ক্রেতা যত চাইবে সেবা দাতা ততোই অধিক পরিমাণে
সেবা দিতে পারবে।
অন-ডিমান্ড: ক্রেতা যখন যা চাইবে, তখনই সেবা
দিতে পারবে। ক্রেতা ইচ্ছণা অনুযায়ী যখন খুশি তার চাহিদা বাড়াতে বা কমাতে পারবে।
পে-অ্যাজ-ইউ-গো: ইহা একটি পেমেন্ট মডেল। ক্রেতাকে
আগে থেকে কোন সার্ভিস রিজার্ভ করতে হবেনা। ক্রেতা যা ব্যবহার করবে কেবলমাত্র তার জন্যই
পেমেন্ট দিতে হবে।
একথায় ক্লাউড কম্পিউটিং এর সংজ্ঞা হিসেবে
বলা যায়, কম্পিউটার ও ডেটা স্টোরেজ সহজে , ক্রেতার সুবিধামত চাহিবামাত্র এবং ব্যবহার
অনুযায়ী ভাড়া দেওয়ার সিস্টেমই হলো ক্লাউড কম্পিউটিং।
১৩। রাউটার
কাকে বলে?
উত্তর: এক নেটওয়ার্ক থেকে আরেক নেটওয়ার্কে ডাটা পাঠানোর পদ্ধতিকে বলে রাউটিং। যে
ডিভাইস রাউটিং এর কাজ করে তাকে রাউটার বলে। রাউটার শব্দটি এসেছে Route শব্দ থেকে। রাউটার একটি গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্র , যা হার্ডওয়্যার
ও সফ্টওয়্যারের সমন্বয়ে তৈরি। এটি নেটওয়ার্ক তৈরির কাজে ব্যবহার করা হয়। ইন্টারনেট
অসংখ নেটওয়ার্কের সমন্বয়ে তৈরি। একই প্রোটোকলের অধীনে কার্যরত দুটি নেটওয়ার্ককে সংযুক্ত
করার জন্য রাউটার ব্যবহৃত হয়। বর্তমানে ইন্টারনেটে অসংখ রাউটার রয়েছে।
১৪। স্যাটেলাইট
বলতে কী বোঝ?
উত্তর: স্যাটেলাইট হলো মহাকাশে উৎক্ষেপিত বৈজ্ঞানিক প্রক্রিয়ায়
উদ্ভাবিত উপগ্রহ। অভিকর্ষের দরূন চাঁদের উপর পৃথিবীর কেন্দ্রমূখী বলের কারণে চাঁদ পৃথিবীর
চারদিকে ঘুরছে। সহজ ভাষায় অভিকর্ষ বল হলো যে বলে পৃথিবী কোনো বস্তুকে তার কেন্দ্রের
দিকে টানে। যদি এই বলটা না থাকত, তাহলে চাঁদ
মহাশুন্যে মিলিয়ে যেত। আবার পৃথিবীর চারদিকে চাঁদের প্রদক্ষিণের দরুন একটা কেন্দ্রবিমুখী
বলের সৃষ্টি হয় যা সেই পৃথিবী কর্তৃক প্রযুক্ত কেন্দ্রমুখী বলের সমান ও বিপরীত। তাই
চাঁদ পৃথিবীর চারদিকে উপবৃত্তাকার বা ডিম্বাকার পথে ঘুরছে। এ তত্ত্বের ওপর ভিত্তি করে
মানুষ বিশেষ মহাশুন্যযান তৈরি করেছে যা নির্দিষ্ট কক্ষপথে থেকে পৃধিবীকে প্রদক্ষিণ
করে। আর এটিই হচ্ছে স্যাটেলাইট বা কৃত্রিম উপগ্রহ। বর্তমান বিশ্বে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির
অন্যতম উপাদান হলো এই স্যাটেলাইট।
১৫। অপটিক্যাল ফাইবার সম্পর্কে লিখ।
উত্তর: অপটিক্যাল ফাইবার হলো ডাই-ইলেকট্রিক পদার্থ দিয়ে তৈরি এক ধরনের আঁশ যা আলো
নিবন্ধকরণ ও পরিবহনে সক্ষম। ভিন্ন প্রতিসারংকের এই ধরনের ডাই-ইলেকট্রিক দিয়ে অপটিক্যাল
ফাইবার গঠিত। ফাইবার অপটিকের তিনটি অংশ থঅকে। যথা:-
- কোর: ভিতরের এই ডাই ইলেকট্রিক কোর যার ব্যাস ৮ থেকে ১০০ মাইক্রোন হয়ে থাকে।
- ক্ল্যাডিং: কোরকে আবদ্ধ করে থাকা বাইরের ডাই ইলেকট্রিক আবরণ ক্ল্যাডিং নামে পরিচিত। কোরের প্রতিসারংক ক্ল্যাডিংয়ের প্রতিসারংকের চেয়ে বেশি থাকে।
- জ্যাকেট: আবরণ হিসেবে কাজ করে।
ফ্ইাবার
অপটিক এর সুবিধা:
- আলোর গতিতে ডেটা ট্রান্সফার করে এবং অপেক্ষাকৃত দ্রুত গতি সম্পন্ন।
- উচ্চ ব্যান্ডউইথ
- আকারে ছোট এবং ওজন অত্যান্ত কম
- শক্তি ক্ষয় করে কম
- বিদ্যুৎ চৌম্বক প্রভাব হতে মুক্ত
- ডেটা সংরক্ষনের নিরাপত্তা ও গোপনীয়তা
- সঠিকভাবে ডেটা স্থানান্তর বা চলাচলের ক্ষেত্রে পারিপার্শি¦ক অবস্থা কোন বাধা প্রদান করতে পারে না।
অসুবিধা
সমূহ:
- ফাইবার অপটিক ক্যাবলকে U আকারে বাঁকানো যায় না তাই যেখানো অধিক বাঁকানোর প্রয়োজন হয় না শুধুমাত্র সেখানেই অপটিক্যাল ফাইবার ব্যবহার করা সম্ভব।
- এটি অত্যান্ত ব্যয়বহুল
- অপটিক্যাল ফাইবার স্থাপন ও রক্ষনাবেক্ষণ করার জণ্য দক্ষ ও কারিগরি জ্ঞানসম্পন্ন জনবল প্রয়োজন হয়।
২। কত সালে প্রথম মহাকাশে প্রথমবার জিও স্টেশনারি স্যাটেলাইট স্থাপন করা হয়?
(ক) ১৯৬৪ (খ) ১৯৬৫ (গ) ১৮৬৪ (ঘ) ১৯৭১
৩। কোনো কারণে যদি কিছুক্ষণের জন্যও এই নেটওয়ার্ক অচল হয়ে যায় তাহলে-
(ক) ব্যাবসার অনেক ক্ষতি হবে (খ) ফেসবুক, টুইটার চালানো যাবে না
(গ) পৃথিবীতে বিপর্যয় নেমে আসবে (ঘ) কম্পিউটার চালু করা যাবে না।
৪। কোনো মিডিয়া ব্যবহার না করেও কোন পদ্ধতিতে কম্পিউটর নেটওয়ার্ক জুড়ে দেওয়া যায়?
(ক) অপটিক্যাল ফাইবার ব্যবহার করে (খ) ওয়্যারলেস পদ্ধতি
(গ) কো-এক্সিয়েল ক্যাবল ব্যবহার করে (ঘ) বৈদ্যুতিক তার ব্যবহার করে
৫ নেটওয়ার্কে “তার” এর মাধ্যম কোনটি?
(ক) কো-এক্সিয়াল ক্যাবল (খ) ব্লুটুথ
(গ) ইনফ্রারেড (ঘ) রেডিও ওয়েভ
কম্পিউটার নেটওয়ার্ক কি?{What is a Computer Network?}
উত্তরমুছুনyour windows license expire সমস্যা সমাধান?
Decimal, Binary, Octal, Hexadecimal সংখ্যা রূপান্তর করতে পাইথন প্রোগ্রাম ?
সংখ্যাসূচক ডেটা টাইপ { Numeric Data Types In Python }
কনভার্টিং Numeric Datatypes এবং Find Type
পাইথন ভাষায় ডাটা টাইপ কি? {Data Types in Python}